পিএনএস ডেস্ক: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে সোমবার (৪ নভেম্বর) উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ৬ নভেম্বর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় তাপস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে মোট ১২৬ জনকে।
মামলায় বাদী ইশতিয়াক মাহমুদ লিখেছেন, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আমিসহ অন্যান্য ছাত্র–জনতা উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে পৌঁছামাত্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা হামলা করে। এজাহারে উল্লেখিত ১ থেকে ২৫ নম্বর আসামির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগিতায় অন্য আসামিরা ব্যাপক দাঙ্গা–হাঙ্গামা সৃষ্টি করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা, মারধর ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে।
আসামিদের ছোড়া গুলি থেকে রক্ষা পেতে আমিসহ ছাত্রদের অভিভাবক ও ছাত্র-জনতা এদিক–সেদিক ছোটাছুটি শুরু করি। আত্মরক্ষার জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়ে এদিন বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি আমার পেটে, পিঠে, হাতে ও মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। এরপর ভ্যানচালক মিরাজ, মো. আবুল, কাশেম মিয়া ও জুলহাস একত্র হয়ে ভ্যানে করে আমাকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আসামিরা চিকিৎসায় বাধা দেন।
পরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে যাই, সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আমার পেটের গুলি বের করে চিকিৎসা শুরু হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর আমি কিছুটা সুস্থ হয়ে ঘটনাটি আমার পরিবার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করি।
এসএস
গান বাংলার চেয়ারম্যান তাপসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ
05-11-2024 04:41PM