পিএনএস ডেস্ক: বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে গেছেন। রাজধানী দামেস্ক দখল করেছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ায় এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে। বিরোধী গোষ্ঠীগুলো মোহাম্মদ আল-বশিরকে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ইতিবাচক খবর হলো, ছয়টি দেশ দামেস্কে তাদের দূতাবাস চালু করেছে। জর্ডান, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি ও মিসর ইতোমধ্যে সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে। এটি অস্থায়ী সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির জানিয়েছেন, কাতার এবং তুরস্কও শিগগিরই তাদের দূতাবাস চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে সিরিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমদ আল-শারা (আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি) হাতে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হলেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির, যিনি নিজেও এইচটিএসের সদস্য।
যদিও অস্থায়ী সরকার কাজ শুরু করেছে, তবে জোটের ভেতরে রয়েছে ভাঙনের আশঙ্কা। অনেক গোষ্ঠীই মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়নি। যদিও মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। বিভিন্ন দল অপেক্ষা করছে তাদের অবস্থান দেখার জন্য।
খবর অনুসারে, সিরিয়ার অস্থায়ী সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভেতরের এই টানাপোড়েন দূর করার ওপর। দেশটির নতুন শাসকরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া তাদের জন্য বড় সাফল্য।
এসএস
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সুখবর
12-12-2024 06:28PM