গাজায় মানবাধিকারে ইসরায়েলের নজিরবিহীন অবহেলা

  27-02-2025 09:24PM

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানে ইসরায়েল মানবাধিকারের প্রতি নজিরবিহীন অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করেন তিনি।

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে গাজা, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় ভলকার তুর্ক ওই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহভাবে যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে সেটি ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’’

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে হামাসকে ৭ অক্টোবর থেকে গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তুর্ক বলেছেন, ‘‘হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নির্বিচারে প্রজেক্টাইল (ভূপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট) নিক্ষেপ করেছে, যা যুদ্ধাপরাধের সামিল।’’

ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলায় হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং আড়াইশ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদন নিয়ে নিজেদের মত জানাতে ইসরায়েল কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। চিলির প্রতিনিধি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন।

ইসরায়েল অবশ্য বরাবরই গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এসেছে। ইসরায়েলের নেতাদের দাবি, তাদের অভিযান কেবল হামাসের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এবং বেসামরিক ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

তুর্ক বলেছেন, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বিশাল; ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্কুল পর্যন্ত। ইসরায়েল কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ একটি মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মানবাধিকার কমিশনের ৫৮তম কাউন্সিলে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে তুর্ক আরও কিছু গুরুতর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, হামাস গাজায় মানবিক আইনের অন্যান্য লঙ্ঘনও করতে পারে। এ ধরনের লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক কার্যক্রম একই স্থানে পরিচালনা করা।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন