পিএনএস ডেস্ক: গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত খাইলকুর বাদশাহ মিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের আওয়ামী পন্থী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দেবনাথ নিজের দুর্নীতির তথ্য আড়াল করতে এমপিওভুক্ত দুই শিক্ষক বিপ্লব মিয়া ও মাকসুদা খন্দকারের বিরুদ্ধে 'অশিক্ষক সুলভ' আচরণের অভিযোগ এনে চাকুরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে টানা দুই দিন শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন করান।
প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দেবনাথের দুর্নীতির খোঁজ নিলে এই প্রতিবেদকের হাতে ৪ জন কর্মচারী ও শিক্ষকের টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে আসে। বিপ্লব মিয়ার নিয়োগের সময় ও টাকা লেনদেনের অফার করা হয়। লেনদেনে অস্বীকৃতি জানালে চাকরি বেশি দিন করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন প্রদীপ দেবনাথ।
এছাড়াও প্রত্যেক বছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও নির্বাচনি পরীক্ষার পর কোচিং বানিজ্যের ৮-১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে প্রমাণ আছে। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছাড়াও 'শতাব্দী বিদ্যাপীঠ' নামে তার নিজস্ব একটি কিন্ডারগার্ডেনের সকল শিক্ষার্থী কে রেজিষ্ট্রেশন ও পরীক্ষা দেওয়ানোর সব কাজ এই প্রতিষ্ঠান থেকে করলেও ফান্ডে কোনো অর্থ জমা দেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া এই প্রতিবেদকের কাছে অন্যান্য অনেক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। এই আন্দোলনের মুল উসকানি দাতা হিসেবে প্রধান শিক্ষক নিজেই নির্বাচনী পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এই সন্ত্রাসী প্রকৃতির ও দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক 'চাকরি কিভাবে করেন দেখে নিবো বলে কিছুদিন আগেওে হুমকি দেন'।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএস
দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় দুই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুতির হুমকি
04-11-2024 09:11PM