গরু চোর আতঙ্কে রামগতি কমলনগরের খামারীরা

  12-11-2024 02:12AM

পিএনএস ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬২টি গরু চুরি হয়েছে। এতে চরমভাবে আতংকিত হয়ে পড়েছেন গরু পালনকারী সাধারণ কৃষক ও খামারিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল নিষ্ক্রিয়তার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

জানা যায়, বুধবার রাতে রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চররমিজ গ্রামের গোমস্তা বাড়ির ইব্রাহিম খলিল বাবুর ২টি, একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ৩টি, শফিউল আলমের ২টি, নিজাম উদ্দিনের ২টিসহ ওই গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১১টি ও আলেকজান্ডার ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার শারু মুন্সির ২টি গরুসহ ১৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

একইভাবে সোমবার রাতে চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ক্বারির গোঁজা এলাকার আতিক উল্যাহর ২টি, আবুল কালামের ৩টি, মহিউদ্দিনের ৪টি ও অন্য একজনের ৩টি রাজহাঁস নিয়ে গেছে চোরেরা। মঙ্গলবার রাতেও চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের নোমান সিদ্দীকির ১টি গরু ও শনিবার রাতে চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামের রেহান উদ্দিন হুজুরের ২টি গরু নিয়ে যায় চোরের দল।

এছাড়াও চরলক্ষ্মী গ্রামের মো. রুবেল উদ্দিনের ৫টি, চরগাজীর সিদ্দিক উল্যাহর ৬টি, পার্শ্ববর্তী গ্রামের শাহাব উদ্দিন সমাজ থেকেও ১০টি গরুসহ গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০টি ও কমলনগর উপজেলার চরবসু, কলাকোপা ও বিভিন্ন এলাকায় আরও ১২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, সবচেয়ে বেশি গরু চুরি হচ্ছে বয়ারচর ও টাংকি এলাকায়। রামগতি-হাতিয়া নিয়ে সীমানা বিরোধ থাকা ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওই অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করা কঠিন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তওহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে গরু চুরি বন্ধ করতে কাজ করছি।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন