পিএনএস ডেস্ক: বান্দরবানে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের দুই গ্রুপের আধিপত্য ও দ্বন্দ্বের জের ধরে দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বেতছড়া টঙ্গঝিরি পাড়াতে ১৭টি ঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বান্দরবান পুলিশের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব বেতছড়া টঙ্গঝিরি পাড়াতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আর ঘটনার পর টঙ্গঝিরি পাড়ার বাসিন্দা আস্তানিয়া ত্রিপুরার ছেলে গুঙ্গামনি ত্রিপুরা (৭২) বাদী হয়ে লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়া এই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই অভিযান শুরু করে এবং লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), যোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) এবং ইব্রাহীম (৬৫) নামে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ আসামকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্যান্য আসামির বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও ভিকটিমদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন, চাঁদা না পাওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর বাদী ও অন্যান্য ভিকটিমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা রাতে মাচাং ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে ১৭টি মাচাং ঘর পুড়ে যায়। এই ঘটনায় আনুমানিক ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়া মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আর ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
বান্দরবান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, মামলা দায়েরে প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় ৭ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাদ বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, পূর্ব বেতছড়া টঙ্গঝিরি পাড়াতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পাওয়ায় পরপরই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পুলিশ দ্রুত সময়ে ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, এই ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পিএনএস/রাশেদুল আলম
চাঁদা না পেয়ে ত্রিপুরাদের ১৭ ঘরে আগুন: পুলিশ
27-12-2024 02:53AM