‘পাকিস্তান আক্রমণে আমরা প্রস্তুত ছিলাম’

  16-12-2019 07:27AM



পিএনএস ডেস্ক: এবছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমান হানা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। পরের দিনই সীমান্তরেখা পেরিয়ে ভারতে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের বায়ুসেনা।

পাকিস্তান সেই আক্রমণ চালাতে ব্যর্থ না হলে ভারত আরও আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে পারত। এমনটাই দাবি করলেন কয়েক মাস আগে অবসর নেওয়া সদ্য প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া।

তিনি বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি সেনা শিবিরে আঘাত আনার লক্ষ্যে পাকিস্তানের বায়ুসেনা পরিকল্পনা করেছিল। যদি সেই হানা সফল হত তাহলে ভারতও পাল্টা আক্রমণ করত। তাঁর জাবি, ভারতীয় বায়ুসেনা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষকে আরও তীব্র করে তুলতে প্রস্তুত ছিল। কেবল সীমান্তরেখার কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পাক সেনা ছাউনিই আক্রমণ করা নয়, আরও তীব্র আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল।

পরিস্থিতি যা ছিল, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে আরও একবার খোলাখুলি যুদ্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের।

যদিও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বায়ুসেনা সফল আক্রমণ চালাতে ব্যর্থ হয়েছিল। রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে পাকিস্তান তাদের মিরাজ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে বোমা বর্ষণ করতে পারেনি। পাক সরকার অবশ্য দাবি করেছিল, তারা আক্রমণ করতে চায়নি। কেবল শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনই লক্ষ্য ছিল।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরে বিমান হানা চালায় ভারত।

অবসর গ্রহণের পর এই প্রথম জনসমক্ষে বক্তব্য রাখলেন বিএস ধানোয়া। তিনি জানান, বালাকোট বিমান হামলায় ভারত কেবল জৈশের শিবিরের কতগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে আঘাত হানাই লক্ষ্য ছিল তাদের।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নিয়েছিলেন বিএস ধানোয়া। পুলওয়ামা জঙ্গি হানার পরে কী পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম।”

পাকিস্তানের বায়ুসেনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওরা জানত না আমাদের লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে। এবং দ্বিতীয়ত, আমাদের কাছে কী অস্ত্র রয়েছে সেটাই জানত না ওরা।”

চণ্ডীগড়ে সেনা সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে এসে একথা জানান তিনি। তথ্য সূত্র- এনডিটিভি।

পিএনএস/ হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন