অভিনয়ের আড়ালে অভিনেত্রী মিহিরের প্রতারণা

  09-11-2024 08:04PM

পিএনএস ডেস্ক: ছোট পর্দার অভিনেত্রী মিহি আহসান। ২০১৭ সালে তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু। বর্তমানে তিনি নিয়মিত নাটকে কাজ করছেন। শোবিজে নাম লেখানোর আগে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের জন্য ওই ব্যবসায়ী মিহিকে নিয়ে প্রায় ১ ডজনের মতো নাটক প্রযোজনা করেছেন বলে জানা গেছে। দুই মাসের পরিচয়ে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল এক কোটি কাবিনে ভালোবেসে বিয়ে করেন মিহি। তার স্বামীর নাম শুভ চৌধুরী (মো. জাহাঙ্গীর কামাল)। পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রযোজক।

জানা গেছে, মিরপুর থাকাকালীন প্রেমে জড়ান মিহি। সেখানকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন তারা। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। একই বছরের ২১ অক্টোবর তাদের ঘরে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান।

এদিকে সম্পতি ফের গোপনে এক সঙ্গীতশিল্পীকে বিয়ে করেছেন মিহি। বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি আর মাহাদী গত একবছর ধরে সম্পর্কে আছি। গেল অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ আমরা বিয়ে করেছি। আমি চাই একবছর পর বেশ ধুমধাম করে সবাইকে আমাদের বিয়ের বিষয়টি জানাবো।

অন্যদিকে জানা গেছে আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই ফের সঙ্গীতশিল্পী মাহাদী হাসানকে বিয়ে করেছেন।

মিহির আগের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর কামাল জানান, স্ত্রী মিহিকে তিনি গাজীপুরে একটি জমি কিনে দিয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে। তাদের ১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলেও পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান হলে তখন মিহির মায়ের চাওয়াতে পুনরায় তাদের দেনমোহর হয় ১ কোটি টাকা। সে সময় মিহিকে ৩০ ভরি অলংকার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মিহির সঙ্গে অন্যদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, এক চলচ্চিত্র নায়ক, নাট্যাভিনেতা ও ক্যামেরাম্যান এবং এক চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে মিহির প্রেমের সম্পর্ক ছিল আগে।

জাহাঙ্গীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সে যদি আমার সঙ্গে সংসার করতে চাইত তাহলে আমার নামে এ ধরনের কথা ছড়াত না। সে দুই বছর ধরে আমার ও সন্তানের খোঁজ নেয় না এবং ভরণপোষণ দেয় না। তার তো উচিত পরিবার নিয়ে বসে সমাধান করা। অথচ সে নোংরা মানুষের মতো কাজ করছে। অথচ তিনি বিবাহিত সে সব লুকিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে। সেই ঘরেও একটি সন্তান আছে।

এত কিছু জানার পরও সন্তানের কথা ভেবে ও মায়ার টানে আমি তাকে ছেড়ে যাইনি। যখন জানতে পারি তিনি প্রতারক তখন তার থেকে দূরে সরে যাই। তিনি এমএলএম ব্যবসা করে। তার নামে অনেক মামলা আছে। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী না। অনেক ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১ কোটি টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ৩০ ভরি অলংকার দেয়ার কথা থাকলেও সেটি দেয়নি।

যে অলংকার দিয়েছিল সেটি বিয়ের পর স্বামী চুরি করে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে মিহির অভিযোগ। তবে মিহির সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, আমি এই মুহূর্তে ব্যবসার কাজে দুবাই আছি ঠিক তবে, আগামী মাসে দেশে আসব। সে যেসব অভিযোগ করেছে সত্য নয়। আমার গার্মেন্টস ব্যবসা আছে। ট্রেড লাইসেন্স আছে। তবে ব্যবসায়িক একটা চেক নিয়ে মামলা হয়েছিল তা পরবর্তীতে সমাধান হয়েছে।

এদিকে মিহির আগেও আরও এক বিয়ে করেছিলেন জাহাঙ্গীর । প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ডির্ভোস হয়েছে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন