পিএনএস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের অভিযোগে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জাতীয় সংসদে দুটি পৃথক দলের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর সরকার। দুই দফা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার রক্ষা পেলেও আগামী সপ্তাহে নিজেদের ডাকা সম্ভাব্য আস্থা প্রস্তাবে ভরাডুবির সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্তুগালের জাতীয় সংসদের একটি দল পিসিপি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আহ্বান করলেও বুধবার (৫ মার্চ) সংসদের অন্যতম প্রধান দুটি দল সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং শেগা পার্টি ভোটদানে বিরত থাকার কারণে এ অনাস্থা প্রস্তাব ভেস্তে যায়। গত সপ্তাহে শেগা পার্টিও একইরকম প্রস্তাব এনেছিল সংসদে এবং সেটিও ভেস্তে যায়।
জানা গেছে, পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসা থেকে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সুবিধা ভোগ করাসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সংসদের বিভিন্ন দল। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে দেশটির জাতীয় সংসদ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এমনকি দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বর্তমানে সরকারে টিকে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী আস্থা প্রস্তাব আহ্বান করেছেন। তবে এ আস্থা প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হতে হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে এটি সংসদে ভোটাভুটির জন্য রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডে সজার কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বুধবার পর্তুগালের ভিসেউ শহরে একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডে সজা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করেন। এমনকি তিনি আশঙ্কা করেন যদি কোনো কারণে এ সরকারের আস্থা প্রস্তাব সরকারের বিপক্ষে যায় তাহলে আগামী ১১ থেকে ১৮ মে নতুন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে।
সংসদের প্রধান বিরোধী দল সোশ্যালিস্ট পার্টির দলনেতা পেদ্রো নুনু সন্তোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার আস্থা হারিয়েছেন। তিনি তার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করছেন না, এমনকি পার্লামেন্টের কমিশনে জবাবদিহিতা প্রদান না করার জন্য তিনি আস্থা প্রস্তাব আহ্বান করেছেন।
অন্যদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারও কাছ থেকে একটি পয়সাও গ্রহণ করেননি বা লাভবান হননি। তবে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, প্রধান বিরোধী দল শুধু নতুন নির্বাচনের জন্য টালবাহানা করছে। সংসদের অন্য দলগুলোর প্রতি তিনি অভিযোগ করেন যে তারা দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
পিএনএস/আনোয়ার
পতনের দ্বারপ্রান্তে পর্তুগালের ক্ষমতাসীন সরকার
07-03-2025 10:16AM
