ফুটপাত দখল নিয়ে হকারকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

  09-03-2025 01:31AM

পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মো. হারুন নামে এক হকারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে।

এসময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা হারুনকে ধরে নিয়ে গ্লোব মার্কেটের পার্শ্ববর্তী মেঘনা তেল পাম্পে মারধর করেন এবং তার ফোন ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেছেন হারুন।

ভুক্তভোগীর মতে, মারধরের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সিরাজুম মুনির নায়িব এবং ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী দেওয়ান ফজলে হাসান নিয়ন।

ভুক্তভোগী হারুন জানান, তিনি গত ৫-৬ বছর ধরে নিউমার্কেট এলাকায় দোকানদারি করেন। তার দেশের বাড়ি শরীয়তপুর। নায়িব এবং নিয়ন কয়েকদিন ধরেই তার দোকান দখল করার জন্য নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন। তারা হারুনের দোকান তুলে দিয়ে অন্য দোকান বসাতে চাইছিলেন।

হারুন বলেন, ওনারা শুক্রবার আবার আসল। আমাকে দোকান তুলে দেওয়ার ব্যাপারে বলল। আমি বললাম, আমরা ত দুইভাই এখানে দোকান করি। দেওয়ার মতো তো জায়গা নেই। কিন্তু ওনারা এটা দখল করতে চান। আমি পরে আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে ভিডিও করেছি। পরে ওরা বলল, ভিডিও করলি কেন? পরে আমাকে পাম্পের পাশে নিয়ে মারধর করেন।

তিনি বলেন, আমার বাবা নেই। একটা প্রতিবন্ধী বোন আছে। তাকে নিয়ে আমি কোনোভাবে চলি। তারা আমাকে যেভাবে অত্যাচার করেছে। আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না। প্রায় ১০-১২ জন লোক এসেছিল। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর মারধর করে। যে যেভাবে পারছে থাপ্পড় মারছে, ঘুষি মারছে। আমি এটার একটা সুষ্ঠু বিচার আর সমাধান চাই।

তিনি বলেন, তারা আমার ফোনটা নিয়ে গেছে। বলেছে, আর দিবে না। ওরা সামনেও আমাকে বাধা দেবে বলেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজলে হাসান নিয়ন বলেন, আমার এখানে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমি যতটুকু জানি, দুইটি দোকানদারের সাথে ঝামেলা আছে। আমি তো ক্যাম্পাসে রাজনীতি করি, আমাদের শত্রুদের ষড়যন্ত্র করতে পারে। আমি সেখানে যাইনি।

অভিযুক্ত সিরাজুম মুনির নায়েব বলেন, আমি বারবার বলেছি, এটা বানোয়াট ঘটনা। আমি তখন স্পটে ছিলাম না। আমি ছিলাম আজিমপুর। পরে এসে আমি মীমাংসাতে বসি। তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, এটা পাশাপাশি বসা দুই হকারের ঘটনা। সম্ভবত তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ঢাকা কলেজের পেট্রোল পাম্পের পাশে। আমি একদম শেষে গিয়েছি।

মীমাংসায় কারা ছিলেন জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে চাননি। তবে ২০১৬-১৭ ব্যাচের শিক্ষাথীরা মীমংসা করেছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন