পিএনএস ডেস্ক: সাভারে একটি চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় আগুনের ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের দগ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) সওগাতুল আলম।
এর আগে শুক্রবার রাতে অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাজীপুরের কোনাবাড়ি ও বাস চালককে গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার সুতী লাংগল জোরা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে জাহিদ হাসান (২১)। তিনি অ্যাম্বুলেন্সচালক। অপরজন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার চাওলিয়া গ্রামের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৮)। তিনি শ্যামলী পরিবহনের চালক।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে গোপালপুর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে অসুস্থ ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিকীকে চিকিৎসা করানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে আসছিলেন ফারুক হোসেন সিদ্দিকী ও মহসিনা বেগম দম্পতি। ওই দিন রাত ২টার দিকে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি সাভার উপজেলায় পুলিশ টাউন এলাকায় পৌঁছালে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির ধাক্কা লাগে। পরে পেছন থেকে ঝুমুর ও শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে আগুন ধরে যায় অ্যাম্বুলেন্সটিতে।
এছাড়া বাস দুটিতেও আগুন ধরে যায়। এ সময় সেখান দিয়ে যাওয়া খড় বহনকারী একটি ট্রাকেও আগুন ধরে যায়। বাস দুটি থেকে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান। এতে অন্তত সাত জন আহত হন। অ্যাম্বুলেন্সে দগ্ধ হয়ে ফারুক, মহসিনা বেগম, ফুয়াদ সিদ্দিকীসহ মহসিনার বড় বোন মাহফুজা বেগম ওরফে সীমা আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রঞ্জু বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘জাহিদ ও জহিরুলকে শনিবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঝুমুর পরিবহনের চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পিএনএস/রাশেদুল আলম
অ্যাম্বুলেন্স-বাসে আগুনে ৪ জন নিহত, দুই চালক গ্রেপ্তার
12-01-2025 12:42AM