মোদিকে খোঁচা দিয়ে ক্ষমা চাইলো আইসিসি

  26-04-2018 04:21PM

পিএনএস ডেস্ক:ভারতে এখন তোলপাড় চলছে আধ্যাত্মিক নেতা আসারাম বাপুর ধর্ষণ মামলা নিয়ে। ২০১৩ সালে ভারতের যোধপুরে নিজ আশ্রমে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষনের কারণে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয় আসারাম বাপুকে। বুধবার তার সাজা ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু তার আগে আসারামের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি পুরোনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে রি-টুইট করে তোপের মুখে পড়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।যার কারণে নানা বিতর্কে পড়তে হয় সংস্থাটিকে। পরবর্তীতে পোস্টটির জন্য ক্ষমা চায় আইসিসি।

অন্যান্য ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরুদের মতো আসারামেরও প্রভাবশালী মানুষদের সাথে যোগাযোগ ছিল। এদের মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদি ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদভানী, কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং, কমলনাথ, মোতিলাল ভোরাও ছিলেন এই তালিকায়। তবে ২০০৮ সালে আসারামের আশ্রমে দুই নাবালক হত্যা ঘটনার পর সব রাজনৈতিক নেতারাই ধীরে ধীরে দূরে সরে যান তার থেকে।
প্রতীক সিংহ নামের সেই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসারামের পুরনো ভিডিটির পোস্টে লেখেন ,‘নরেন্দ্র মোদি ও আসারামের কিছু পুরনো মধুর স্মৃতি সবার সঙ্গে শেয়ার করছি।’ আইসিসি 'নারায়ন, নারায়ন' লিখে ভিডিওটি নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে রি-টুইট করে। এর পরেই ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে উঠে নানা রকম বিতর্ক। পরবর্তীতে কিছুক্ষন পরেই পোস্টটি ডিলিট করে নতুন টুইট করে ক্ষমা চায় সংস্থাটি।

প্রতীক সিনহা নামে একজন ব্যবহারকারী ‘নরেন্দ্র মোদি ও আসারামের কিছু সুন্দর অতীত স্মৃতি’ লিখে তাদের দুইজনের একটি পুরোনো ভিডিও পোস্ট করেন। আইসিসি ‘নারায়ন, নারায়ন’ লিখে ভিডিওটি নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে রি-টুইট করে। যদিও এটি পরবর্তীতে মুছে ফেলেছিল সংস্থাটি। কিন্তু ততক্ষণে এর স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে তোপের মুখে পড়ে আইসিসি।

এরপর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য টুইট করে ক্ষমাপ্রার্থনা করে আইসিসি, ‘ক্রিকেটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন টুইট এর টুইটার ফিডে আসার কারণে আইসিসি শঙ্কিত। খুব অল্প সময়ের জন্য এটি আপ করা হয়েছিল। যে কেউ এতে আহত হয়েছেন তাদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কি হয়েছিল তা জানার জন্য অনুসন্ধান চলছে।’

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন