পিএনএস : চলতি বিশ্বকাপের মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। পুরো বিশ্বকাপজুড়েই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি একটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক বেশি। সেটি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অবসর। অনেকেই ধরে রেখেছিলেন এবারের বিশ্বকাপেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেবেন টাইগার অধিনায়ক।
কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝপথে সংবাদ সম্মেলন করে মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবারের বিশ্বকাপই তার শেষ টুর্নামেন্ট নয়। বরং বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরে তবেই জানাবেন ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। বিশ্বকাপে তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খুবই বাজে হওয়ায় অবসরের আলোচনাটা হয়েছে একটু বেশিই। তাই দেশে ফেরার পরেও বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা হয়েছিল অবসরের প্রসঙ্গ। জানতে চাওয়া হয়েছিল চলতি মাসের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন কি-না মাশরাফি।
ভ্রমণক্লান্তিতে বিষাদগ্রস্ত মাশরাফি জানিয়েছিলেন এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। যার ফলে জানা যায়নি মাশরাফির ভবিষ্যত পরিকল্পনার ব্যাপারে। তবে একটি ব্যাপার নিশ্চিত খুব বেশি দিন বাকি নেই তার ক্যারিয়ারের। তাই তো বিসিবির পক্ষ থেকেও ভাবা হচ্ছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিদায় জানানোর কথা।
তবে এবারের বিশ্বকাপ তার শেষ বিশ্বকাপ হলেও এখনই অবসর নেওয়ার চিন্তা ভাবনা নেই এই দলনেতার। সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে অধিনায়ক মাশরাফির পরে কে হবেন দল নেতা? চলতি বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে মাশরাফির পারফর্ম খুব একটা ভালো করতে পারেননি। অপর দিকে সাকিব দুর্দান্ত পারফর্ম করে রেকর্ড গড়েছেন। দলনেতা ভালো খেলতে না পারলেও কিন্তু তার প্রশংসা করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, মাশরাফি খেলোয়াড় হিসেবে দলে আসেনি। কিন্তু আপনি যদি অধিনায়ক নিয়ে বলেন, তাহলে আমরা তার মতো দলনেতা খুঁজে পাইনি। আমি এটা সব সময় বলি। খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব আর অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলে। মাশরাফির বিদায় নিয়ে প্রশ্ন করলে বিসিবি প্রধান বলেন, আমরা চেষ্টা করবো তার বিদায়টা যতো ভালোভাবে করা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আমরা এটা নিজেদের মাটিতে করতে পারি।
আমরা নিজেদের দেশে মাশরাফির একটি বিদায়ী ম্যাচ ভালোভাবে করতে চাই। কারন তাকে তার যথাযথ সম্মানটা দেওয়া দরকার। আমরা সবাই জানি মাশরাফি আমাদের দলটির জন্য কি করেছেন। তিনি সব সময় চেষ্টা করে গেছেন নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাতে। সব সময় ভাল পারফর্ম করেনি মাশরাফি।
কিন্তু তার আন্তরিকতা আর লড়াকু মনোভাবের কোন কমতি ছিলনা। সে সব সম শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে। যাতে দলতে জেতানো যায়। এমন নিবেদিত প্রাণ ক্রিকেটার পাওয়া আসলেই দুষ্কর। তাই তাকে নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি কিভাবে তার বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখা যায়। সেই সাথে তিনি আর বলেন এটা ঠিক মাশরাফি চলে গেলে সে শূণ্যতা দেখা দেবে সেটা পূরণ করা কঠিন হবে।
তাই বলছি সত্যিকার অর্থে মাশরাফি সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা বেশ কঠিন। তবে বেশীরভাগ মানুষই ভাবছেন মাশরাফি বিদায় নেওয়ার পর সাকিবই হতে পারেন পরবর্তী দলনেতা। তাই এখন সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে আছেন বাংলাদেশ দলের নতুন অধিনায়ককে দেখার জন্য।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
কে হবে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক, জানালেন পাপন!
13-07-2019 05:36PM