ভাল নেই ঝালকাঠির চাই-বুচনা প্রস্তুতকারীরা

  14-07-2018 12:47PM



পিএনএস, ঝালকাঠি থেকে মো:নজরুল ইসলাম: ভাল নেই ঝালকাঠির চাই-বুচনা প্রস্তুতকারীরা। এখানকার খালবিলে এখন আর আগেরমত মাছ মেলে না তার ওপরে এবছর পানি দেরিতে এসেছে তাই মাছ আরো কম। যে কারণে কমে গছে চাই বুচনার চাহিদা। যারা সারা বছর বর্ষ মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে চাই-বুচনা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের ব্যাবস্থা করার জন্য এ বছর তারা হতাশ। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বাঁশ সহ চাই বুচনা তৈরির উপকরন কিনেছিলেন বাজারে চাহিদা না থাকায় তারা যেমন বিপদে পরেছেন তেমনি ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছেন পাইকাররা বা মহাজনরা।

ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার সড়ই গ্রামের মোতালেব মিয়া ৩০ বছর ধরে বুচনা (এক ধরনের মাছ ধরার ফাঁদ) তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। নিজের পূঁজি না থাকায় মাহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বাঁশসহ প্রয়োজনীয় উপকরন কিনে বুচনা তৈরি করেন। মহাজনরূপি পাইকাররা এজন্য বাজার মূল্যের চেয়ে কিছুটা কম দামে এসব বুচনা কিনে নেন। কিন্তু চিংড়ি, বেলে, পুঁটি, খলিসা, কই, শিং, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশিয় মাছ আসংকাজনক ভাবে কমে গেছে। তার উপর বেশিরভাগ খাল-বিলে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়া এবং পানি দেরিতে আসায় আগেরমত মাছের আনাগোনা নেই। কয়েক বছর আগেও বর্ষাকালে দক্ষিনাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল জলে টইটুম্বুর হয়ে গেলে জলের সংঙ্গে ভেসে বেড়াত হরেক রকমের মাছ। এসব মাছ শিকার করার জন্য অপেক্ষকৃত সহজ কৌশল চলাচলের পথে চাই কিম্বা বুচনা পেতে রাখা। কিন্তু এবছর মাছ না মেলায় যারা চাই বুচনা পেতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের আগ্রহ কমে গেছে। যে জন্য বাজারে এসব পন্যের চাহিদা এবং দাম দুটোই কম। আগে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই জেলার হাট বাজার গুলোতে চাই বুচনা কেনার ধুম পরে যেত এ বছর তা নেই। মোতালেব মিয়ার মত জেলার কয়েকশ কারিগররা চোখে অন্ধকার দেখছেন। কিভাবে মহাজনদের দাদন পরিশোধ করবেন আর কিভাবে সারাবছর খেয়ে পরেবেঁচে থাকবের এমন চিন্তায়।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে উপ-ব্যাবস্থাপক, বিসিক, মোঃ জালিস মাহমুদ বলেন, তারা চাই বুচনা প্রস্তুতকারীদের পূঁজি সংকট সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন