টিউলিপকে এমপি পদ ছাড়তে হতে পারে : ড. ফাহমিদা খাতুন

  19-01-2025 12:09AM

পিএনএস ডেস্ক: টিউলিপ আরেকটি দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমনকি কমন সিটিজেনও নন। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী খালার সঙ্গে রাশিয়া গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে টিউলিপের পদত্যাগ অবধারিত ছিল।

আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। তিনি পদত্যাগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এমপির পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। এমনকি লেবার পার্টির সদস্যপদও হারাতে পারেন বলে জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

শনিবার প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অভিবাসন বিশ্লেষক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. কাজী আহসান হাবীব, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তামান্না বেগম। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিদেশি হাইকমিশন ও ব্যাংকগুলোকে প্রবাসীদের সেবায় আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। এয়ারপোর্টের প্রবাসী লাউঞ্জে যে বার্গার দেওয়া হচ্ছে, তা তারা খেতে অভ্যস্ত কি না সেটা বুঝতে হবে। প্রবাসীরা সোনার হরিণ। তাদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা প্রয়োজন। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। বর্তমানে আমাদের প্রেরিত কর্মীদের মধ্যে বেশির ভাগই অদক্ষ। তাই বেশি করে দক্ষ কর্মী বিদেশে প্রেরণের ওপর গুরুত্ব দিলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। বিগত সরকারের আমলে যে অর্থ পাচার হয়েছে তা তাদের বৈধ উপার্জিত অর্থ ছিল না।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের চারদিকে বর্তমানে যে চাকচিক্য দেখা যাচ্ছে তা অভিবাসীদের রেমিট্যান্সের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। তাদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে বিশেষভাবে কাজ করছে। এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই দেশের রিয়েল হিরো। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রবল দেশাত্মবোধ রয়েছে। তারা বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রেমিট্যান্স প্রেরণ বন্ধ করে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিল। নানা শর্তের বেড়াজালে আইএমএফ চার বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করেছে। অথচ প্রবাসীরা কোনো শর্ত ছাড়াই গত বছরে ২৭ বিলিয়ন ডলার দেশে প্রেরণ করছে।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন