পিএনএস ডেস্ক : যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। ইবাদত বন্দেগি আর দোয়ার মধ্য দিয়ে রাতটি যাপন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মাগরিবের নামাজের পর থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে হাজির হতে থাকেন মুসল্লিরা।
সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার আশায় ব্যস্ত থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন রাতের শেষ প্রহরে।
মসজিদ ছাড়াও বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করছেন অনেকে। অনেকে আবার কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন।
এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে পাড়া-মহল্লাগুলোতে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। মাংস, হালুয়া, রুটিসহ নানান উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে এসব খাবার। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হতে থাকেন। ইবাদতের পাশাপাশি চলছে এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা।
ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ মুক্তি। আজ সেই মুক্তির রাত লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত (আজ শুক্রবার) মুক্তির রজনী হিসেবে পালন করে মুসলিম উম্মাহ। ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরানসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি, উর্দু, বাংলা, হিন্দিসহ নানান ভাষায় এটি ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।
পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
পবিত্র এ রাতকে উপলক্ষ করে মাগরিবের পর থেকে ফজর পর্যন্ত বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এসব আয়োজন করেছে।
এর মধ্যে বাদ মাগরিব পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কারি গোলাম মোস্তফা। এরপর হামদ ও না’তে রাসুল (সা.) পরিবেশন করে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী। পরবর্তী আয়োজন হিসেবে রয়েছে, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা। আলোচনা করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়া শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান।
এশার নামাজের পর শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে আরও আলোচনা করবেন চরমোনাই আহসানাবাদ রসিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
এরপর ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর রাত আড়াইটায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।
আলোচনা শেষে আবারও ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর ফজরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।
পিএনএস/এএ
আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার আশায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়
14-02-2025 11:09PM
![](/static/image/upload/news/2025/02/14/50bd0db5413e5cd4bd58a8eed9b3403c_2.jpg?w=550&h=350)