যৌতুকের শিকল থেকে উদ্ধার তানিয়া, গ্রেফতার ২

  08-01-2025 04:50PM

পিএনএস ডেস্ক: তানিয়ার বিয়ে হয়েছে আট বছর আগে। এরইমধ্যে কয়েক দফায় স্বামীকে যৌতুক হিসেবে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দেয় তার পরিবার। এরপরও টাকার দাবিতে মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। সর্বশেষ দুদিন ধরে তানিয়ার পায়ে শিকল বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখে তার স্বামী সোহেল রানা। উদ্ধার করতে গেলে গৃহবধূর পিতা ও মাকেও মারধর করে তারা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তানিয়ার বাবা রিপন গাজি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

তানিয়ার বাবা রিপন গাজি জানান, ‘তানিয়ার তিন মাসের শিশুসহ দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সোহেল তার মেয়েকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করতো। যে কারণে মেয়ের ভালো চেয়ে কয়েক দফায় বেশ কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যৌতুক লোভী জামাই ও তার পরিবারের লোকজনের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি বরং তানিয়াকে আবার টাকা আনতে বলে। এতে তানিয়া রাজি না হওয়ায় সোমবার সকালে তাকে মারধর করে পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে মেয়েকে উদ্ধার করতে জামাইয়ের বাড়িতে গেলে আমাকেও মারধর করে জামাইসহ বাড়ির লোকজন। এরপর মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উভয়কে উদ্ধার করে।’

ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন আমার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বাবা গরীব মানুষ হলেও মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফা টাকা দিয়েছেন। তারপরও টাকার জন্য নির্যাতন বন্ধ করেনি স্বামী ও তার পরিবার। সোমবার আমার শাশুড়ি, স্বামী ও ননদ মিলে মারধর করে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। আমার বাবা এসে নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে তাকেও মারধর করে।’

এ তথ্য নিশ্চিত করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ওই গৃহবধূর পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং ঘটনা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাশুড়ি মাহমুদা খাতুন (৫২) ও ননদ রুমি খাতুন (৩০)কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্তস্বামীসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন