গ্রামপুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, কসাইয়ের অঙ্গ কর্তন

পিএনএস ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ধর্ষণচেষ্টা করায় বাবলু নামের এক কসাইয়ের অঙ্গ কর্তন করেছেন এক গ্রামপুলিশের স্ত্রী। শনিবার রাতে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের পাটোয়ারীরপুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় মামলার প্রস্তুতি নেন। বর্তমানে কসাই বাবলু রায়পুর শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বাবলুর ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজারে কসাইয়ের দোকান রয়েছে। তিনি চরপাতা গ্রামের কেরামত আলী মুন্সি বাড়ীর ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।

জানা যায়, চরপাতা ইউপির পাটোয়ারীরপুল এলাকার গ্রামপুলিশ প্রতি রাতের মতো গ্রামের দায়িত্ব পালন করতে যান। এ সুযোগে বাবলু ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন তিনি তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে করিমের লিঙ্গের আংশিক কেটে দেন। এতে বাবলু আহত হয়ে পালিয়ে যায়। ওই গৃহবধূ থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই গৃহবধূ জানান, বাবলু তার স্বামীর এলাকার। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন। বাবলু অনেক দিন থেকে তাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। বিষয়টি তিনি তার স্বামী ও স্বজনকে জানালে কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না। এজন্য তিনি সবসময় আত্মরক্ষার জন্য কাছে সবসময় একটি ব্লেড রাখতেন। আত্মরক্ষার জন্য সেই ব্লেড দিয়েই বাবলুর লিঙ্গ কর্তন করেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবলু বলেন, গত দুই বছর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত গ্রামপুলিশ জমির বিরোধে আমাকে খুব মারধর করেছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাদের বাড়ির পাশে ধানখেতে গ্রামপুলিশকে বলেছিলাম তুই প্রস্তুত থাকবি, আমার ওপর মারধরের হিসাব নেব। শনিবার রাতে গ্রামপুলিশের ঘরের সামনে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় গ্রামপুলিশসহ তার স্ত্রী ও দুই অচেনা লোক ঘরে ঢুকিয়ে আমার লিঙ্গ কেটে দেয়।

রায়পুর সরকারি হাসপাতালের ডা. বাহারুল আলম বলেন, আহত বাবলুর লিঙ্গের ২০ ভাগ অংশ কাটা গেছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত।

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, চরপাতা ইউপির গ্রামপুলিশ ঘটনাটি জানিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এসএস