পাঠ্যবই দেশে ছাপানোয় বিলম্ব হচ্ছে দিতে: শিক্ষা উপদেষ্টা

  07-01-2025 07:56PM

পিএনএস ডেস্ক: শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিভিন্ন কারণে পাঠ্যবই হাতে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। এমন আগেও হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে আসবে তা জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিগত আমলে মার্চের আগে পুরোপুরি বই শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে পারেনি সরকার। এবার আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

আগের সরকারের মত বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, দেশের সক্ষমতা কত সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই। দেশের সবগুলো গোডাউন (যেখানে আর্ট পেপারগুলো) জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্ধার করার পরও দেখা গেল যে দেশের ভিতর আপাতত কিছু ঘাটতি আছে। ঘাটতি মেটাতে (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কবে নাগাদ সবাই সব বই পাবে এটা আমি জানি না।

এর আগে ১ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন এবার পাঠ্যবই দিতে দেরি হলেও মান ভালো হচ্ছে। এবার বেশ খানিকটা দেরি হচ্ছে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা সত্যি দুঃখজনক। পাঠ্যবই ছাপার কাজটা যুদ্ধের মতো হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ সব বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া যাবে জানি না।

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন ১৫ জানুয়ারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেওয়া যাবে। আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেব না। পাঠ্যবই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। বই ছাপার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কিছু কথা বলব।

তিনি আরও বলেন, প্রথম সমস্যাটা হলো- আমরা বিদেশি বই ছাপাব না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে অনিবার্য কারণে। তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেকগুলো বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষ সবকিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিশুদের কাছে বই যাবে, সেটা ভালো কাগজে ছাপা না হলে তো হয় না। সেজন্য উন্নতমানের ছাপা, উন্নত মানের কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বসানো হয়েছে, তারা অভিজ্ঞ। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির যে নেতা, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়াটা করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও এর মধ্যে ঢুকতে হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকে সমালোচনা করছেন কেন পেছনের শিক্ষাক্রমে ফিরে গেলাম আমরা। আমি মনে করি, যে শিক্ষাক্রম করা হয়েছিল, সেটাতে থাকলে শিক্ষার্থীদের আরও পেছনে যাওয়া হতো।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন