রাজাকার স্লোগানের প্রতিবাদে রংপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

  15-07-2024 07:06PM

পিএনএস ডেস্ক: কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রলীগ। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রংপুর মহানগর ও কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাস থেকে প্রতিবাদী মিছিল বের করে বেরোবি ছাত্রলীগ। মিছিলটি পার্কমোড়ে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে মহানগর ও কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়। এরপর তারা মডার্ন মোড় ও পার্কমোড়ে রাজাকারবিরোধী মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় তারা ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, রাজাকার গেলি কই’, ছাত্রলীগের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘রাজাকার পড়লে ধরা, মাইর হবে উরাধুরা’, ‘ছাত্রলীগ আসছে রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে যারা কটাক্ষ করেছে, রংপুরকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেছে তাদের কার্যক্রমের প্রতিবাদে আমাদের এ কর্মসূচি। কেউ প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখাবেন না। না হলে তাদের প্রতিহত করা হবে।

এর আগে গতকাল রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক বক্তব্যের জেরে নতুন মাত্রা পেয়েছে চলমান এই আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলোতে এরই মাঝে মিছিল করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দিয়েছেন বিক্ষোভের ডাক। একই অবস্থা দেখা গিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও।

রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে স্লোগান দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহি হল থেকে ভেসে আসে স্লোগানের শব্দ। এ সময় একটি মিছিল বের করে রংপুরের মর্ডান মোড়, দর্শনা, লালবাগ হয়ে পার্ক মোড় হয়ে আবারও মর্ডান মোড়ে গিয়ে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কীসের তোমার অধিকার, তুমি একটা রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাসের হলগুলো।

উল্লেখ্য, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্রিক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। তাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিল। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হতো।’

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন