পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়েছে মোংলায়

  06-02-2025 07:49PM

পিএনএস ডেস্ক: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় ভিড়েছে পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে আসা একটি জাহাজ। পানামার পতাকাবাহী ‘এমটি ডলফিন-১৯’ নামের জাহাজটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে গত ২২ জানুয়ারি জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৭ মিটার ড্রাফট ও ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটিতে করে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো মোলাসেস বা চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে। আখ থেকে চিনি আহরণের সময় চিনিকলে যে গাদ, চিটচিটে ও চিনির সমৃদ্ধ উপজাত পাওয়া যায় তা চিটাগুড় নামে অধিক পরিচিত। মোংলা বন্দরের জেটিতে নতুন আমদানি পণ্য নিয়ে জাহাজটি ভিড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পি এ্যান্ড পি ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক বলেন, বাংলাদেশে ১৩টি চিনিকল ছিল। এই মিলগুলো যখন সচল ছিল, তখন বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করা হতো। তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করেছে। এ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসত বাংলাদেশে। কিন্তু বেশির ভাগ চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হতো।

আনোয়ারুল হক বলেন, ভারত হঠাৎ করে চিটাগুড় রপ্তানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে চিটাগুড়ের দাম বেড়ে যায়। বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করেছেন। পশুখাদ্য তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। এখন এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকে কম মূল্যে মোলাসেস সরবরাহ করতে পারবে, যা দেশের পশু লালন–পালন খাতকে সমৃদ্ধ করবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, জাহাজের চিটাগুড় খালাস করে মোংলা ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে পরিশোধন করা হবে। এরপর রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌপথে সরবরাহ করা হবে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানি যাবে এই চিটাগুড়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) এমডি শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলে বন্দরের আয় ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি পায়। আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন